এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়ায় উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনাস্থ বাটাখালী ব্রীজের দক্ষিণ এলাকায় আরমান নামের এক ব্যাক্তির নিয়ন্ত্রনাধীন জুয়ার আসর থেকে দৌড়ে পালানোর সময় মাতামুহুরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মো.মহিউদ্দিন (৫৫)নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে।চকরিয়া থানা পুলিশ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জনতার সহয়তায় মাতামুহুরী নদী থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।নিহত মহিউদ্দিন চকরিয়া পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কসাইপাড়া এলাকার ওমর আলীর পুত্র বলে জানাগেছে।

থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনাস্থ বাটাখালী ব্রীজের দক্ষিণ পাশে মাতামুহুরী নদী লাগোয়া এলাকায় এনাম মেম্বারের ছোট ভাই আরমানের নিয়ন্ত্রনাধীন দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিল।বুধবার বিকাল ২টার দিকে প্রতিদিনের মতো জুয়ার আসর বসার গোপন সংবাদ পেয়ে থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে এস আই এনামুল হক ও সুকান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের একটি দল ধাওয়া করলে বেশ ক’জন জুয়াড়ীরা পালিয়ে যায় এবং তিনজন জুয়াড়িকে জুয়ার আসার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ  থানায় নিয়ে যায়।পুলিশ চলে যাওয়ার পর বিকাল ৪টার দিকে একই এলাকায় আরমান গ্রুপের জুয়াড়িরা পুন:রায় জুয়া খেলতে বসে।হঠাৎ জুয়া খেলার সময় সেলিম গ্রুপের লোকজন এসে পুলিশ আসছে বলে চিৎকার করলে ভয়ে আরমান গ্রুপের দুইজন জুয়াড়ি জাহাঙ্গীর ও মহিউদ্দিন পালাতে গিয়ে মাতামুহুরী নদীতে ঝাঁপ দেয়। দু’জন থেকে জাহাঙ্গীর সাঁতার কাটিয়ে কোন রখম বাড়ী ফিরলেও কসাইপাড়া মহিউদ্দিন পানির মধ্যে ডুবে যায়।মহিউদ্দিনকে রাত্রে জাল পেলে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ নদীতে ভেসে উঠলে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয়।চকরিয়া থানার এস আই আবদুল খালেক ঘটনাস্থলে পৌছে জনতার সহয়তায় মহিউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন,মাতামুহুরী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ মহিউদ্দিনের প্রাথমিক ছুরুতহাল রির্পোট তৈরি করা হয়েছে। এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতার মর্গে পাঠানো হয়েছে।নিহতের পরিবারের কাজ থেকে অভিযোগ দেয়া হলে তা পরবর্তীতে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।